আমেরিকায় রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়াও যুক্তরাষ্ট্রের সম সংখ্যক কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে তার দেশ থেকে। ৬০জন কূটনীতিক বহিস্কারসহ সেন্ট পিটার্সবার্গে আমেরিকান কনসুলেট বন্ধ করে দিয়েছে তারা। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেন। গত ৪ মার্চ ব্রিটেনের সেলসব্যারীর উইল্টশায়ারে সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়াকে নোভিচক গ্রুপের একটি নার্ভ এজেন্ট দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনে ব্রিটেন। এবং তারা ২৩জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে, আর তাদের সমর্থন ও সংহতি জানিয়ে আমেরিকাসহ ২০টিরও অধিক দেশ রুশ কুটনিতিকদের বহিষ্কার করে তাদের দেশ থেকে। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক আদেশে ৬০ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করার পাশাপাশি সিয়াটলে রাশিয়ার কনসুলেট বন্ধের নির্দেশ দেন।
কয়েকদিনের ব্যবধানেই এর পাল্টা জবাব হিসেবে রাশিয়াও সমসংখ্যক যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে তার দেশ থেকে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এই সংক্রান্ত এক আদেশ ইউএস কনস্যুলেটে পৌঁছে দিয়ে তা বন্ধের ও নির্দেশ দেন। তিনি জানান- সমান সংখ্যক কূটনীতিক বহিষ্কার এবং সেন্ট পিটার্সবার্গে ইউএস কনস্যুলেট জেনারেলের কার্যক্রমের অনুমতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এর পূর্বে রাশিয়া থেকে ব্রিটিশ কূটনীতিকদেরও বের করে দেয় রুশ প্রশাসন।
পুতিন কোন অবস্থাতেই ছেড়ে কথা বলছেন না। যদিও তারা মারাত্মক এই নার্ভ এজেন্ট দিয়ে সের্গেই স্ক্রিপালকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ শুরু থেকেই প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। কিন্তু যুক্তরাজ্য সহ তাদের মিত্র অন্যান্য দেশ এর অনুমান সত্তর ও আশির দশকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এর আমলে এ সিরিজের নার্ভ এজেন্টগুলো তৈরি করেছে রাশিয়া যা অতিমাত্রায় উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক। যেহেতু এমন নমুনা কেবল তাদের সংগ্রহে আছে আর এতেই প্রমাণ মেলে তাদের সম্পৃক্ততার।
বিশ্বের অনেক দেশ মনে করেছে যুক্তরাজ্যকে সমর্থন দিয়ে আমেরিকা যেহেতু একই পথ অবলম্বন করেছে সুতরাং রাশিয়া কোণঠাসা হবেই। কিন্তু সকলকে হতবাক করে তাদের সেই ধারণাকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়েছেন পুতিন। তিনি পাল্টা ব্যাবস্থা নিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁকে ঘাঁটাঘাঁটি করাটা মোটেও শুভ হবেনা। এখন দেখার বাকি অন্য দেশগুলোর প্রতি কি ব্যাবস্থা নেন পুতিন যারা রাশিয়ার কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে তাদের দেশ থেকে।